আজকাল বাসা-বাড়ির কাজ করতে গৃহকর্মী খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। সবখানেই প্রচুর চাহিদা তাদের। তবে, কষ্টসাধ্য এই পেশায় চাকরি হারানোর ঝুঁকিও রয়েছে যথেষ্ট। কোনো কারণে মনিবের মনোক্ষুণ্ন হলেই মুহূর্তেই চাকরি শেষ! এমন বিপদে পড়েই সম্প্রতি বিজনেস কার্ড ছাড়া হয়েছিল এক গৃহকর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। এরপর থেকে নতুন চাকরির অফার যেন থামছেই না। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ডাক আসছে তাদের বাসায় কাজ করে দেওয়ার জন্য। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে পাশের দেশ ভারতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ধনশ্রী শিনদে নামে এক নারী একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখেন গৃহকর্মী, যাকে তিনি গীতা মাসি বলে ডাকেন, তাকে খুব বিষণ্ন দেখাচ্ছে। কারণ, কিছুক্ষণ আগেই একটি চাকরি হারিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ দরিদ্র এ গৃহকর্মীর মাসিক আয় হঠাৎ করেই চার হাজার রুপি কমে গেছে।
গীতাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারে নামেন একটি ডেভেলপার কম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ধনশ্রী। নিজের বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওই গৃহকর্মীর জন্য তৈরি করেন চমৎকার একটি বিজনেস কার্ড। ওই কার্ডে গীতার ফোন নাম্বারসহ উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা। যেমন- ঘর ঝাড়ু দিতে ৮০০ রুপি, কাপড় ধুতে ৮০০ রুপি, রুটি বানাতে হলে এক হাজার রুপি প্রভৃতি।
প্রাথমিকভাবে এমন একশ বিজনেস কার্ড ছাপিয়ে বিলি করা হয় এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে। কিন্তু, ছোট্ট এই পরিকল্পনা যে এত বড় ঝড় তুলবে এটা আশা করেননি ধনশ্রী বা গীতা মাসি কেউই। তাদের এই ঘটনার বিবরণ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন অস্মিতা জাভাদেকর নামে এক নারী। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ওই বিজনেস কার্ডের ছবি।
অস্মিতা জানান, এরপর থেকে গীতা মাসির মোবাইল ফোন অনবরত বেজে চলেছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার কাছে চাকরির অফার আসছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ধনশ্রীর এমন অভিনব আইডিয়ার প্রশংসা করেছেন। ছোট কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে একজন দরিদ্র নারীর বিপদ দূর করায় অসংখ্য মানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে।