বেনাপোল স্থলবন্দরে শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন না করে নতুন টেন্ডার দেওয়ায় শ্রমিকরা শনিবার সকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বন্দর প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও, মিছিল, সভা ও সমাবেশ।
জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরে নতুন টেন্ডারে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আবুল কালাম আযাদ শুক্রবার রাত ৮টায় জানান, বোর্ডের একটি সিদ্ধান্তে এবার ৪টি লাইসেন্সের অধীনে বেনাপোল বন্দরে কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কার্যাদেশ (ওয়ার্ক পারমিট) এখনো দেওয়া হয়নি।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ড্রব কমিনিকেশন, লজিস্টিকেল সিস্টেমস, হোসনে আরা ও খালিদ অ্যান্ড ব্রাদার্স।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘শ্রমিকরা যে দাবি নিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ, বন্দরের সঙ্গে চুক্তি ঠিকাদারদের। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ঠিকাদারদের প্রাপ্য অর্থ আমরা তাদের দিয়ে থাকি। ঠিকাদাররা শ্রমিকদের নায্য মজুরি দেবেন।’
আবুল কালাম আযাদ বলেন, ‘কিন্তু, শ্রমিকরা ঠিকাদারদের সঙ্গে সমঝোতা না করে বন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। শ্রমিকদের এসব দাবিনামা শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পড়ে। কিন্তু, বন্দর শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। সরকার যদি নতুন আইন করে সরাসরি বন্দর কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকের পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে বলে, তাহলে তখন আমরা সেটা করবো।’
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (৮৯১) সভাপতি গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে ৩১ মে পুরাতন ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমরা নতুন ঠিকাদার নিয়োগের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে সরকার ঘোষিত নায্যমূল্য পরিশোধের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, বন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে একই দাবি নিয়ে আমরা অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম। সে সময় মাননীয় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করেছিলাম। কিন্তু, এবার সরকার ঘোষিত ন্যায্যমূল্য আদায় না হওয়া পর্যন্ত শনিবার সকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কর্মসূচি চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।’