শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সফলতা কেউ চোখে দেখছেন না। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা টিভিতে টক শো’র মাধ্যমে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। তারা চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে সরকারের নেতিবাচক দিকগুলোকে তুলে ধরছেন। অথচ আমরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছি।’
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন : দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ ও বিরোধী দলের ধ্বংশাত্বক রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে অনেক কৃষক সারের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কোনো গণমাধ্যমই এ বিষয়ে কোনো নেতিবাচক রিপোর্ট করতে পারেনি। কারণ, আমরা সুষ্ঠুভাবে সার বিতরণে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশে এখন প্রতিটি মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পারছেন। শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই বিনামূল্যের বই হাতে পাচ্ছে। সরকার জাতীয় গ্রিডে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা দিয়ে গ্রামাঞ্চলের নিস্বদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। এসব কথা কেউ বলেন না।
‘এখন দেশে কৃষক-শ্রমিকরা আন্দোলন করেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করছেন না। আন্দোলন করছেন বিরোধী দলের মুষ্ঠিমেয় কিছু লোক এবং এটা আন্দোলন নয়, এটা আন্দোলন আন্দোলন খেলা।’ বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, বিরোধী দল ষড়যন্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চায়। আন্দোলন-সংগ্রামের শক্তি দিয়ে তাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতিশ চন্দ্র রায়সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভায় হাজী সেলিম বলেন, এখন বিরোধী দল নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। অথচ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লঙ্গরখানায় পরিণত হয়েছিল। তাদের মামলা-নির্যাতনে কোনো কর্মী বাড়িতেও থাকতে পারতেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেই মামলায় বীরের মতো অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছি। আর বর্তমান বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতারা একটা মামলা খেয়েই বোরকা পরে ফেলেছেন।