ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ‘গণরুম সংকটের’ সমাধান আগামী সোমবারের মধ্যে না হলে পরদিন থেকেই সিট না পাওয়া ছাত্ররা উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে উঠবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কখা বলেন।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এই সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া ১৫ কার্যদিবসের সময়সীমা আগামী সোমবার শেষ হবে। আগামী মঙ্গলবার উপাচার্য মহোদয়ের সাথে সকালের নাস্তা করার মধ্য দিয়ে আমরা উপাচার্য ভবনে থাকার শুরু করব।
তিনি বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হয়েও শিক্ষার্থীদের আবাসন সঙ্কট সমাধান করতে পারছেন না, শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করবে আর তিনি প্রাসাদসম বাংলোয় আয়েশে থাকবেন- এটা কোনোভাবেই অভিভাবকসুলভ কোনো কাজ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের বিবেকে না বাধলেও গণরুম সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অভিভাবকের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের গণরুম সংকটের প্রতিবাদ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর নিজের সিট ছেড়ে কবি জসিমউদ্দীন হলের একটি গণরুমে উঠেন সৈকত। গণরুম সংকটের সমাধানে এরপর কয়েকটি প্রস্তাবসহ উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন তিনি।
সবশেষ ১ অক্টোবর রাজু ভাস্কর্যে গণরুমবাসী কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক সমাবেশ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ দেখা না গেলে সবাইকে নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে উঠার আল্টিমেটাম দেন সৈকত।
এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে।
এই বিষয়ে বুধবারও প্রভোস্ট কমিটির একটি সভা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা সমাধানে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া হলগুলো থেকে অছাত্রদের উৎখাতে হল প্রশাসনের পাশাপাশি হল সংসদগুলোকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রভোস্ট কমিটির এসব সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সৈকত বলেন, প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে আশাব্যঞ্জক কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।