হাইড্রোলিক প্রেসারের সমস্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজ। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী উড়োজাহজটির জন্য সকাল ১১টা ৭ মিনিটে বিমানটির জরুরি অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত উড়োজাহাজটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন পাইলট। এতে কোনো হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকাল ১০ টা ২১ মিনিটে বিমানটি সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেছিল। ১০টা ৪১ মিনিটে পাইলট ইমার্জেন্সি ডিক্লিয়ার করেন। আমরা ফায়ারসার্ভিসসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে ফেলি। এরপর ১১টা ৭ মিনিটে উড়োজাহাজটি শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ করে।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিমানের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি সকাল ১০টা ২১ মিনিটে ৬০ জন আরোহী নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু সৈয়দপুরের আকাশ সীমায় পৌঁছানোর পর উড়োজাহাজটির হাইড্রোলিকে সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে সেখানে অবতরণ না করে পাইলট উড়োজাহাজটি ঢাকায় ফিরেয়ে আনেন। এতে কোন হতাহত হয়নি।’ তিনি বলেন, যাত্রীদের আরেকটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজে ১ ঘন্টা পর সৈয়দপুরে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ব এয়ারলাইন্সটির বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পাখির আঘাতের কারণে জরুরি অবতরণ করে। একই উড়োজাহাজ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল। সেই দিন উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ১৪৩ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। উড্ডয়নের পর ল্যান্ডিং গিয়ার ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করলেও ভেতরে না যাওয়ায় ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। এই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর।