জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করে দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক প্রথা ভেঙে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেছিলেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে কলমের খোঁচায় তা বাতিল করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার আবার উপজেলা পদ্ধতি চালু করলেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। প্রশাসনকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে উপজেলা পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে।
গতকাল বুধবার সকালে জাপার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে ‘উপজেলা দিবস’-এর আলোচনাসভায় জি এম কাদের এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর একযোগে ৪৬০টি থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করেন। এ দিনটিকে জাপা উপজেলা দিবস হিসেবে পালন করছে।
জি এম কাদের বলেন, উপজেলা পদ্ধতি করার মধ্য দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইতিহাসে বেঁচে থাকবেন। এটা ছিল একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ। উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের আগে থানাগুলো আমলাদের দ্বারা পরিচালিত হতো। এরশাদই প্রথম আমলাদের ক্ষমতা নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাছে দেন।
আজকে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্যদের কাজ আইন প্রণয়ন করা। তাঁরা কেন উপজেলার গম ভাগ করা থেকে ছোট একটি কালভার্ট নির্মাণ পর্যন্ত তদারকি করবেন? উপজেলা পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানরাই উপজেলাগুলোর উন্নয়ন দেখাশোনা করার দায়িত্ব পাবেন। বিচারিক ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলেও উপজেলা পদ্ধতির পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ গ্রামকে শহর করতে চায়। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তবে তার আগে উপজেলা পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ করলে গ্রামকে শহর করার পদক্ষেপ আরো মসৃণ হবে।
জাপা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতি, আলমগীর শিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মুহম্মদ রাজু, মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক জাফরউল্লাহ মজুমদার, কৃষক পার্টির সহসভাপতি রমজান আলী, জাপা ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি আবদুস সোবহান প্রমুখ।