ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদকে এবার একটি খুনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পিবিআই এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদ এই মামলায় খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে খালেদকে দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
এদিন খালেদকে মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই সঙ্গে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইসরাইল হোসেন ও তার ছেলে সায়মন ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানী মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৩৮ লাখ টাকা তোলেন। এরপর প্রাইভেট কার নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন তরাগাছ এলাকায় গাড়ি থেকে নামেন। এ সময় তিন-চারজন ছিনতাইকারী বাবা ও ছেলেকে গুলি করে টাকার দুটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ বাবা-ছেলেকে স্থানীয় লোকজন খিদমাহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছেলে সায়মন সেখানেই মারা যান। ইসরাইলকে গুরুতর আহত অবস্থায় মহাখালীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ২০১৬ সালে এই আঘাতের কারণেই তিনি মারা যান।
ওই ঘটনায় সায়মনের চাচা মজিবুর রহমান ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় ছিনতাইসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিবি একবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ক্যাসিনো খালেদ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উরেম্মাচন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গুলশানের বাড়ি থেকে অস্ত্র মাদকসহ খালেদকে আটক করে পুলিশ। বিপুল পরিমাণ টাকাও উদ্ধার করা হয়। মতিঝিলে তার অফিসেও অভিযান চালালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় অস্ত্র আইন, মাদকদ্রব্য আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে এবং মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মোট চারটি মামলা হয়। এসব মামলায় কয়েকদফা রিমান্ড শেষে খালেদকে গত সপ্তাহে কারাগারে পাঠানো হয়।