চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: একই পরিবারের ৭ জনসহ নিহত ৮

চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: একই পরিবারের ৭ জনসহ নিহত ৮

চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কক্সবাজারের চকরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ২০ জন।

শুক্রবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটের দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজার ইউনিয়নের মালুমঘাটা এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া এলাকার মৃত আবদুল আলিমের ছেলে শেখ মর্তুজা হোসেন (৭০), তার ভাই শেখ এতেজা হোসেন (৫০), শেখ মর্তুজা হোসেনের স্ত্রী শেফায়েতুল আলম রেনু (৬০), শফিউল আলমের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪০), সুরত আলমের কন্যা (শেখ মর্তুজা হোসেনের নাতনী) সাবরিনা সুলতানা আলভী (১৭), শেখ মর্তুজা হোসেনের পুত্র শাহেদুজ্জামান শাহীন (৪০), শাহেদুজ্জামান শাহীনের কন্যা আভা (২)। অপর জন হলো মাইক্রোবাসের চালক শহরের বাহারছড়া এলাকার শাহজাহান (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা মেট্টো ব- ১১-৪৫৯৩ নম্বরের কক্সবাজারগামী একটি চেয়ারকোচ ঘটনাস্থলে এসে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান একই পরিবারের ৭ জন। আহত চালককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান।

শ্যামলী পরিবহনে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা বাসটি ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রেবাসের যাত্রীরা মারা যান।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ৮ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আরো অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চকরিয়া, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে কক্সবাজার শহরের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালিয়েছে উত্তেজিত মাইক্রোবাস চালক ও শ্রমিকরা। এতে আবদুল্লাহ নামের এক কর্মচারী আহত হয়েছে। ঘটনার পর শ্যামলী কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ