কানাডার সাধারণ নির্বাচনে এগিয়ে আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি। অর্থাৎ এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ট্রুডো।
সোমবার কানাডায় জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (সিবিসি) প্রদর্শিত ফলাফলেও এমন ধারণাই পাওয়া গেছে। খবর রয়টার্সের।
কানাডার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আসা ফলাফলে দেশটির ৩০৪টি ইলেক্টোরাল ডিস্ট্রিক্টের মধ্যে ১৪৬টিতে লিবারেলরা হয় এগিয়ে আছে অথবা নির্বাচিত হয়েছে বলে সিবিসি জানিয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ট্রুডোর দলকে ১৭০টি আসনে জয় পেতে হবে। অন্যথায় ট্রুডোকে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে তাকে বামপন্থি বিরোধী দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
এতে ৩৩৮ আসনের হাউস অব কমন্সে ট্রুডোর অবস্থান গত মেয়াদের চেয়ে দুর্বল হবে।
ভোটের আগে চূড়ান্ত প্রচারণার সময় লিবারেল পার্টির নেতা ৪৭ বছর বয়সী ট্রুডোর প্রতি সমর্থন জানান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ট্রুডোকে বিশ্বের প্রভাবশালী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে অবশিষ্ট শেষ প্রগতিশীল নেতা বলে বিবেচনা করা হয়।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রকাশিত ‘ব্ল্যাকফেস’ কেলেঙ্কারির কারণে এবং শীর্ষ একটি কানাডীয় কোম্পানির দুর্নীতি নিয়ে শক্ত হতে না পারায় ওঠা সমালোচনায় কিছুটা কোণঠাসা হন ট্রুডো।
লিবারেলদলীয় কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো সোমবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মন্ট্রিয়েলে ভোট দেন। অপরদিকে রক্ষণশলী নেতা শেয়ার তার নিজের নির্বাচনী এলাকা সেসকাচুয়েনে নিজের ভোটটি দেন।
কানাডার অপর দলগুলোর মধ্যে কুইবেক প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী জোট কিবেকুয়া ওই প্রদেশটিতে ৩৩ আসনে এগিয়ে আছে অথবা জয়ী হয়েছে। গ্রিন পার্টি একটি আসনে এগিয়ে আছে অথবা জয় পেয়েছে বলে জানা গেছে।
২০১৫ সালে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের সময় তার মন্ত্রিসভায় নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের কারণে বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিলেন, যা তার দলের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। ‘কারণ এটা ২০১৫ সাল’ স্মিত হেসে এমন মন্তব্য করেছিলেন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসা এই প্রধানমন্ত্রী। তার এই তিনটি শব্দ সে সময় সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।