ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে জনিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
রবিবার রাজধানীর কাকরাইলে নবনির্মিত তথ্য ভবন মিলনায়তনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত সরকারি প্রচার কার্যক্রমে উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসারদের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে বিষয়টি দেখেছি, তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘যারা ক্যাসিনো পরিচালনা করতো তাদেরকেই ধরা হয়েছে। সবাই দুর্নীতিবাজ। রাঘব বোয়ালকেই ধরা হয়েছে। আরও অনেকের নাম আসছে। যারা অভিযোগগুলো করছেন, বড় বড় কথা বলছেন, তাদের নামও আসছে। এটি চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে পরিশুদ্ধ করার জন্য, দেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। ধীরে ধীরে দায়ী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ঐক্যফ্রন্ট) যে সমাবেশ করতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন যায়গায় মানববন্ধন করতে যাচ্ছেন এ জন্য তাদের অভিনন্দন। কারণ, আমরা চাই রাজপথে এবং সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে তারা এসব সভা সমাবেশ করে জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না এবং কোনো ইস্যুও পাচ্ছে না। ছাত্র এবং অন্য ইস্যু নিয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে রাজনীতির মাঠে সরগরম থাকার চেষ্টা করছে। জনগণের কোনো সাড়া না পেলেও তারা যে মাঠে নামার চেষ্টা করছে এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।’
সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরপর তিন তিনবার নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা সুয়োগ পেয়েছি। বিএনপি তো ২০০৮ সালের পর থেকেই বলে আসছে দেশ পরিচালনায় সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। বিএনপির এটি কোনো নতুন কথা নয়, এটি পুরনো বুলি। পুরনো ঢোলই তারা বাজাচ্ছে, এই ঢোল আমরা গত ১১ বছর থেকে শুনে আসছি।’
জেলা তথ্য অফিসারদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং দেশ ও জাতির প্রয়োজনে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা। সে লক্ষ্যেই গণযোগাযোগ অধিদফতর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সময় এসেছে পুরনো ধাঁচের প্রচার কার্যক্রম বদলে আধুনিক যুগোপযোগী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করার।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকলকে একাগ্রভাবে কাজ করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে সদা প্রস্তুত।’
তথ্যসচিব আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিজের কাজকে শুধু চাকরি না ভেবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।’
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও দেশের ৬৮ তথ্য অফিসের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।