বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় জেলেকে ছিনিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তদন্তের আগেই ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের সমালোচনা করলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
অথচ গত ১০ বছরে সীমান্তে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৯ বাংলাদেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজিবি উদ্যোগী হয়ে পতাকা বৈঠক ডেকেছে। চেষ্টা করেছে সমস্যা সমাধানের। কাজেই বৃহস্পতিবারের ঘটনা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে।
চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে আসাদুল নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। একই মাসের ২৬ তারিখে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা সীমান্তে মারা যায় আজিজুল ইসলাম।
মৌলভীবাজারের ডিমাই সীমান্তে নিহত হন আব্দুর রউফ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গরু ব্যবসায়ীরা ভারতীয় শূন্যরেখা অতিক্রম করে বলে অভিযোগ ওঠে।
জুনে সংসদে সীমান্তে হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৯৪ জন নিহত হয়েছে বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী। গত বছর সবচেয়ে কম ৩ জন্যের মৃত্যু হলেও চলতি বছর ১০ মাসেই ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠক ডেকে সমস্যার সমাধান হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দুদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধানরা বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিজিবির মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি চলমান সমস্যা দুইজনের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম ভূমি সীমানা রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে, যার আয়তন ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে অধিকংশ সীমানাই উন্মুক্ত।