অভিজ্ঞতা এবং পরিপক্ক হওয়ার জন্য ক্লাব অনেক বড় ক্ষেত্র। জাতীয় দলের নতুন কোচ রিচার্ড পাইবাসও ক্লাব কোচিংকে এগিয়ে রাখছেন। তিনি মনে করেন পাকিস্তান দলের কোচিংয়ের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফ্রেঞ্চাইজিদের নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে বেশি কাজে লাগাতে পারবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ডার এন্ড ফ্রেঞ্চাইজিস, টাইটান্স ও কোবরাস এই তিনটি দলের কোচ ছিলেন পাইবাস। দুইটি দলের হয়ে আটটি শিরোপাও জিতেছেন। বলছিলেন,‘আফ্রিকার কাজে অনেক কিছু বুঝতে হয়েছে। এখানে অনেক সংস্কৃতির মিশ্রন ছিলো। ফ্রেঞ্চাজিদের সঙ্গে কাজ করলে কিভাবে জিততে হয়, একটা জয়ী দল গড়ে তোলা এবং জয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে হয়। আমি দুটি ফ্রেঞ্চাইজিতে কাজ করেছি যেখানে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার খেলেছে এবং আমরা খুব ভালো করেছি। পাকিস্তানে থাকার সময় সংস্কৃতি বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’
২০০৩ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না পাইবাস। তারপরেও তাকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টেস্ট ও ওয়ানডে র্যাংকের তলানীতে থাকা বাংলাদেশের কোচিংকে আকর্ষণীয় এবং ইউনিক কাজ মনে করেন পাইবাস।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশর বেশির ভাগ ক্রিকেটার তরুণ। তাদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আমি জেতার জন্য খেলবো। মালটি ফর্মেটের ক্রিকেটার তৈরি করবো। প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেটে যাতে সিরিজ জিততে পারে সে ভাবে তাদেরকে তৈরি করার ইচ্ছে আমার।’
পাইবাস জয়ের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। বাংলাদেশে কাজের জন্য সবার আগে তাকে মানসিক বাঁধা দূর করতে হবে। তার মতে,‘ ক্রিকেটাররা তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছে। এশিয়া কাপের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। ’
দায়িত্ব নেওয়ার পর পাইবাসের প্রথম এসাইনমেন্ট হবে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাও খেলবে। এই টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়দের বোঝার একটি সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন ৪৭ বছর বয়সী কোচ।
কাকাতালীয় হলেও সত্যি স্টুয়ার্ট ল’ও জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তার উত্তরসুরি পাইবাসও জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে কাজে নামছেন।