পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা অতিরিক্ত জায়গায় দুধ ও মাংস উৎপাদনে গবাদি প্রাণীর প্রজনন ও জাত উন্নয়ন মিলিটারি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে এই ফার্ম পরিচালিত হবে। এ কাজের জন্য সেনাবাহিনীকে ২১৫৬ একর জমি ছেড়ে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে এ উপলক্ষে সেনাবাহিনীর সাথে সেতু বিভাগের একটি এমওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া ১ এর ভিজিটর সেন্টারে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, এটি প্রতিষ্ঠা করা হবে জাজিরা প্রান্তে। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। অপ্রয়োজনীয় জমি পতিত না রেখে দেশের আর্থ-সামাজিক ও আর্থিক সম্ভাবনার জন্য এ জমিতে আধুনিক উন্নতমানের মিলিটারি ফার্ম গড়ে তোলা হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূল সেতুর বাস্তব অগ্রগতি ৮৪ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৫.৮৪ ভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর সব ক’টি পাইল ড্রাইভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩২টির কাজ শেষ হয়েছে। আর বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। সর্বমোট ৪১টি ট্রাস এর মধ্যে চীন হতে মাওয়া সাইটে এসেছে ৩১টি এর মধ্যে ১৪টি স্থাপন করা হয়েছে। ১৫তম স্প্যান স্থাপনের জন্য ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলার এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়াও আরো ৪টি ট্রাস কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ১টি ট্রাস চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিলারের কাছে স্থাপনের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। রেলওয়ে স্লাব এর জন্য মোট ২৯৫৬টি প্রি-কাস্ট এর প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২৮৯১টি স্লাব তৈরি কাজ শেষ হয়েছে। বাকী স্লাব আগামী নভেম্বরে শেষ হবে। এ পর্যন্ত ৩৬১টি স্লাব স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, রেলওয়ে স্লাবের জন্য মোট ২৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেকস্লাব এর প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ১৫৫৩টি স্লাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি স্লাব তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪টি স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল ১২১৩৩.৩৯ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯২০১.৯৩ কোটি টাকা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে।