ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশে পা রেখেছেন তিনি।
তাকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, ফিফা কাউন্সিল সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ সহ অন্যরা।
ফিফা প্রধানের এই ‘শুভেচ্ছা সফর’ দুই দিনের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সফরটি হতে যাচ্ছে এক দিনেরও কম। এই অল্প সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাবেন ইনফান্তিনো।
শুরুতে শোনা গিয়েছিল বুধবার বিকেলেই ঢাকায় পা রাখবেন ইনফ্যান্তিনো। পরে জানা যায়, মঙ্গোলিয়া থেকে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে এসে পৌঁছবেন। কিন্তু প্রবল বাতাসের কারণে তার যাত্রা বিলম্ব হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এরপর যাবেন বাফুফে ভবন পরিদর্শনে। সেখানে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সভা করবেন। এরপর দুপুরে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। বিকেল ৫টায় ঢাকা ছাড়বেন ইনফান্তিনো।
ইনফান্তিনোর এই সফর নিশ্চিত করে কয়েক দিন আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘তার এই সফর আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলের উন্নয়নে আমাদের কার্যক্রম সচক্ষে তিনি দেখবেন। এটা শুভেচ্ছা সফর হওয়ায় তার কাছে কোনও দাবি দাওয়া বেমানান হবে। তবে আলোচনার কোনও পর্যায়ে যদি সুযোগ পাই, তাহলে আমরা চেষ্টা করবো সেসব নিয়ে কথা বলতে।’
মঙ্গোলিয়া থেকে এই শুভেচ্ছা সফরে এসেছেন ৪৯ বছর বয়সী ইনফান্তিনো। বাংলাদেশ থেকে লাওসের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। এই সফরে তার সঙ্গী ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মাথিয়াস গ্রাফস্ট্রোম, কমিউনিকেশনস প্রধান ওনোফ্রে কস্তা, এশিয়া ও ওশেনিয়ার সদস্য সংস্থার পরিচালক সঞ্জীবন বালাসিংহম এবং প্রেসিডেন্টের অফিস ম্যানেজার ফেডেরিকো রাভিংলিওন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ নিয়ে কোনো ফিফা সভাপতির চতুর্থবার আগমন। ১৯৮০-৮১ সালের দিকে প্রথম হোয়াও হ্যাভেলেঞ্জ এসেছিলেন। এরপর সেপ ব্লাটার দুবার এসেছিলেন, ২০০৬ ও ২০১২ সালে।
সর্বশেষ সেফ ব্ল্যাটার এসেছিলেন ২০১২ সালের ৬ মার্চ। বাফুফে ভবন সংলগ্ন অ্যাস্ট্রো টার্ফ উদ্বোধন করার জন্য। এর আগে ২০০৬ সালে এসে বাফুফে ভবন উদ্বোধন করেছিলেন তিনি।