ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ ক্লাবে মঙ্গলবার বিকেলে মা ও মেয়েকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় সোর্সসহ পাঁচ পুলিশকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মা রেবা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পুলিশ সোর্স বাবুকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানার এসআই নাজমুল হক, পুলিশ সদস্য জামানসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার মকবুল হোসেন কাছে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাবা মো. ফারুক অভিযোগ করে জানান, পুলিশ সোর্স বাবুর সঙ্গে তাদের একটি পূর্ব শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতার জের ধরে বাবু পুলিশকে দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, স্বামীর অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে এক তরুণী মামলা করা জন্য আদালতে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাবা ফারুক ও মা রেবা বেগম। কিন্তু আদালতের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের বুধবার আসতে বলা হয়।
তখন বাবার মোটরসাইকেলে চেপে আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বংশাল থানা পুলিশের এক সোর্স তাদের গতিরোধ করেন। পরে ওই তরুণীর বাবাকে ধরে পুলিশ ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই তরুণী বাবার খোঁজে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাকে ভেতরে ঢুকিয়ে ক্লাবের গেট বন্ধ করে দেয়। ক্লাবের দোতলায় ক্যান্টিনের পাশে তার বাবাকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করে। সেই সঙ্গে তরুণীটিকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে কয়েকজন পুলিশ।