দুর্গাপূজার দশমীতে ইচ্ছামতী মিলন স্থল হয়ে ওঠে ভারত-বাংলাদেশের। সীমান্ত পার না হলেও দুই দেশের মানুষ সেখানে বিসর্জন দিতে হাজির হয়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। সেটা দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।
এ বছর ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের টাকির ইছামতি নদীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। একদিকে ভারতের টাকির ইচ্ছামতী নদীতে চলে প্রতিমা বিসর্জন, অন্যদিকে বাংলাদেশের দেভাটায় ইছামতি নদীতে চলে বিভিন্ন দুর্গা পূজার ঠাকুর বিসর্জন।
কেউ কোনো ভাবেই যেন পানিসীমা লঙ্ঘন না করতে পারে, সে কারণে নদীতে টহল দেয় বিএসএফের জলযান। সুষ্ঠুভাবে ইছামতি নদীতে যাতে ভাসান হয়, সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা বহাল রাখে পুলিশ। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের ইছামতী নদীতে মহা ধুমধামের সঙ্গে চলে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন।
ইছামতি নদীতে বিসর্জন খতিয়ে দেখলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। টাকির ইছামতী নদীতে দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন এত দিন সিনেমাতে দেখা গেছে, বিভিন্ন বই ও উপন্যাস উঠে এসেছে। কিন্তু আজ সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরতা জাহান প্রথম বার দেখলেন ওই বিশাল কর্মকাণ্ড। বিসর্জন পর্ব দেখে অভিভূত অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
নুসরাত বলেন, যেভাবে ইছামতি নদীর দুই তীরে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে তার ব্যাখ্যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। এত দিন শুনেছিলাম কিন্তু আজ নিজে দেখে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হলো আমার।