তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, কমিউনিটি রেডিওর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, দিক-নিদের্শনাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে সরাসরি কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না।
বুধবার ‘কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রয়োগে জাতীয় কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিউনিটি রেডিও সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ বিষয়টি রেডিওর মাধ্যমে খুব সহজে সাধারণের বোধগম্য করে তোলা সম্ভব। এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তুলতে পারবে রেডিও।
এ সময় অনুমোদন দেওয়া ১৪টি রেডিওর ব্যাপারে সার্বিক খোঁজ-খবর রাখার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তথ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে ‘স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গত মঙ্গলবারের মন্তব্য পুলিশকে সাংবাদিক নির্যাতনে আরো উৎসাহিত করবে কি না?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের বিষয় না। এ বিষয়ে আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করুন।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় যে সব সাংবাদিক নির্যাতিত হয়েছেন, তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিলেনাম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব এস এম হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ।
অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, রেডিও হচ্ছে ঘুমন্ত দানব। একে সাধারণ মানুষের স্বার্থে জাগিয়ে তুলতে হবে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে খুব সহজে কৃষকদের কৃষি তথ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিলেনাম বলেন, সরকারের সদিচ্ছার ফসল এ কমিউনিটি রেডিও। এটি দেশের সাধারণ মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের আরিফা এস শারমিন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় তথ্য মন্ত্রণালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।