আবরার ফাহাদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে। এতে ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরুসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। জানাজার পর একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি থেকে পলাশি মোড় অতিক্রম করে।
আজ সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন আবরারের সহপাঠীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। সবারই গন্তব্য হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। সেখানে একত্রিত হয়ে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। খুনিদের গ্রেপ্তার দাবি করছেন তারা। স্লোগান, ফেস্টুন আর বক্তব্যে সাত দফা দাবি তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো আবরারের খুনিদের ফাঁসি দিতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দিতে হবে, উপাচার্যকে ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে আসতে হবে, আবাসিক হলে ভিন্ন মতাবলম্বীদের নির্যাতনে জড়িতদের বিচার করতে হবে, আগের ঘটনাগুলোয় জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে এবং শের ই বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।
আবরার ফাহাদের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে গত রবিবার রাত ৮টার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিবির সন্দেহে আবরারকে রবিবার রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।