বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের গ্রেপ্তার ১০ নেতাকর্মী। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগের গ্রেপ্তার ১০ নেতাকর্মী হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতয়ি বর্ষ), সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ) এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।
একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। আবরার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গতকাল সোমবার ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর লাশ।
ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েটে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে শেরেবাংলা হলে অবস্থান নেন। এ ছাড়া উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনকে শনাক্ত ও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল রাত ৮টার দিকে আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করা হয়। আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ মামলাটি দায়ের করেন।