ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার আগে ২৮ সেপ্টেম্বরের পুরনো এলসি করা ৭০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের মধ্যে ৫৭টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। বন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ প্রবেশের সাথে কমেছে পেয়াজের দাম। প্রতিকেজি পেয়াজ হিলি বন্দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। ৪ দিন থেকে ওপারে পার্কিং-এ আটকে থাকায় গরমে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। পেয়াজের গাড়ি থেকে পানি পড়ছে। অধিকাংশ নষ্ট পেঁয়াজ নিয়ে আমদানিকারকরা পড়েছেন বিপাকে।
নানা জটিলতা শেষে শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে পেয়াজ বোঝাই ট্রাক গুলো বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন ৫৭টি ট্রাকে ৯শ ৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।
হিলির খুচরা বিক্রেতা আহম্মেদ আলী জানান, দুর্গা পূজার ছুটিতে হিলি বন্দর ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই বন্ধের মাঝে আবারও আমদানিকারক ও পাইকার ব্যবসায়ীরা পেয়াজ মজুত করলে খুচরা বাজারে দাম আবারও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই তারা বাজার মনিটরিং টিম হিলিতে রাখার দাবী জানান।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার আগেই দুর্গাপূজার বন্ধের সময় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে নির্ধারিত মূল্যে প্রচুর পরিমাণ এলসি করা হয়েছে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর সেই পেঁয়াজ গুলো ভারত অভ্যন্তরে আটকে যায়। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে আজ শুক্রবার সেই পেঁয়াজ গুলো বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। যা বন্দরে প্রবেশ করলে পেঁয়াজের বাজার যেমন স্বাভাবিক হবে তেমনি আমরাও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবো।
আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত পেয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। গরমে অনেক গাড়ি দিয়ে পেয়াজ পচার পানি ঝরছে। বন্দরে যে সকল পেয়াজ এসেছে তার মধ্যে অধিকাংশ পেয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। পোর্ট থেকে পেয়াজ নিজ গুদামে নিয়ে গিয়ে বাছাই করে তার পর বিক্রি করা হবে। এক সাথে বেশী পরিমাণের পেয়াজ দেশে প্রবেশ করায় দাম কমে যাওয়ায় অনেক আমদানি কারককেই লোকসান গুনতে হবে।