মিয়ানমার থেকে ৬১৭৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

মিয়ানমার থেকে ৬১৭৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে এ সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হচ্ছে শতশত মেট্রিক টন পেঁয়াজ। গত ৩৩ দিনে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৬ হাজার ১৭৬ দশমিক ৯৩৯ মেট্রিক টন পেয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে গেছে, গত সেপ্টেম্বরে এ বন্দর দিয়ে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম দুই দিনে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্দরে আরও প্রায় ৮০৩ দশমিক ৭৯৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলার নোঙর করা রয়েছে। এ ছাড়া ১৪টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলার বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি সত্ত্বেও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে স্থানীয় বাজারে গত কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের চড়া দাম থাকলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্য আদায়কারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারের গতকাল বুধবার থেকেই পেঁয়াজের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানান সাধারণ ভোক্তারা।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমরা কক্সবাজারের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করেছি। পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। তবে অনেক ব্যবসায়ী আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস না করতে পারায় বন্দর শ্রমিক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।

তাদের অভিযোগ, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলারগুলো বন্দরে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিক সংকটের কারণে দ্রুত সময়ে খালাস করার কোনো ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর