সম্প্রতি সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। আরামকোর সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধনাগার আবকায়িক ও খুরাইস এলাকায় এ হামলার দায় স্বীকার করে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী। সৌদি আরবও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। বলা হচ্ছে, আরো ভয়ঙ্কর হামলার ঘটানা ঘটতে পারে সৌদিতে।
শঙ্কা থেকেই ইরানি হামলার ভয়ে সৌদি আকাশে পাহারা বসাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা সৌদি আরবে একটি প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারি, চারটি স্থলভিত্তিক রাডার সিস্টেম এবং এই সিস্টেমকে চালানোর জন্য দু’শ সেনা সদস্য পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় বলা হয়, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে একটি থাড মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এবং আরো দু’টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারি পাঠানো হবে সৌদি আরবে। ওইগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করে পেন্টাগনের মুখপাত্র জনাথন হফম্যান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই বলছে ওই অঞ্চলে ইরানের অত্যাচার বেড়েই চলছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করতে যাচ্ছি। এছাড়াও আমরা সৌদি আরবের নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী করেত দেশটিতে প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারি এবং চারটি স্থলভিত্তিক রাডার সিস্টেম পাঠাচ্ছি।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরো অনেক সেনা মোতায়েন করা হবে। এর উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্যকে ইরানের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা।
সূত্র: ফক্স নিউজ।