যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার অভিযোগে আলাদা দুই মামলায় ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন অস্ত্র মামলায় ফের সাতদিন ও মানি লন্ডারিং মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত অস্ত্র মামলায় চারদিন ও মানি লন্ডারিং মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ সময় আসামির পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভর পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার মানি লন্ডারিং মামলায় শামীমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। ওইদিন এ মামলায় জিকে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গুলশান থানাধীন নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে আটক করে র্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার। জি কে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র। আর পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্দার করা হয়। এ ঘটনায় জি কে শামীমের নামে তিনটি মামলা হয়।