বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে শান্তিপূর্ণভাবে অর্ধদিবস হরতাল শুরু হয়েছে। হরতালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরী জুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগর জামায়াতের আমির ও সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলামকে দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বুধবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত এ হরতালের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এ হরতালে সমর্থন দিয়েছে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর নগরীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নগরীর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত চকবাজার, চন্দনপুরা, বাদুরতলা, দেওয়ানবাজার, মুরাদপুর, আন্দরকিল্লা, পাহাড়তলী এলাকায় ভোর থেকে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এসব এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে সর্বত্রই পুলিশকে দেখা গেছে সতর্ক অবস্থায়। নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) এস এম তানভীর আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নাশকতার আশঙ্কা আছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। এ পর্যন্ত কোন গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য নাশকতা মোকাবেলায় গত রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারি কমিশনার মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের আওতায় তল্লাশি চালিয়েছি। উল্লেখযোগ্য কেউ গ্রেপ্তার নেই।’
এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো.মাহাবুবুর রহমান জামায়াত সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলামকে একদিন আগে দেওয়া জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি আ ন ম শামসুল ইসলাম।