ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পাশে পুলিশ ক্লাবে বিচারপ্রার্থী এক নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালী থানার এসআই জামান ও এসআই জাহাঙ্গীর তাকে পুলিশ ক্লাবে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের হেনস্থার শিকার হয়েছেন দুইজন আইনজীবী ও তিনজন সাংবাদিক।
ঘটনার শিকার ওই নারী জানান, তিনি তার স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করতে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসেন। এসময় কোতয়ালী থানার এসআই জামান ও জাহাঙ্গীর পাশের পুলিশ ক্লাবের ভেতরে নিয়ে তার গায়ে হাত দেন। তাকে জড়িয়ে ধরাসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, মেয়েকে আদালতের ভেতরে নেওয়ার জন্য সঙ্গে আসা বাবা ফারুক আহমেদ প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। ঘটনার সময় অনেক মানুষ ক্লাবের সামনে জড়ো হন ও প্রতিবাদ করেন।
এসময় প্রতিবাদকারী সাখাওয়াত ও রাজু নামের দুই আইনজীবী, কালের কণ্ঠের আদালত প্রতিবেদক এম এ জলিল উজ্জ্বল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের আদালত প্রতিবেদক তুহিন হাওলাদার, প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদক প্রশান্ত কর্মকারকে পুলিশ মারধর করে। এছাড়া চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদক পরাগ আজিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন খান। পরে দুই আইনজীবীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি সালাউদ্দীন খান ও সহকারী কমিশনার (এসি) রাজিব আল মাসুদের নির্দেশে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলে তারা জানিয়েছেন।
একপর্যায়ে ঘটনার শিকার ওই নারী ও তার মাকে ধস্তা-ধস্তির মাধ্যমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালী থানার কর্তব্য কর্মকর্তা বশির আহমেদ এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘মা-মেয়ে ও তার বাবাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। দিনেদুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো আর আপনারা তা বিশ্বাস করবেন? সেখানে আমাদের ওসি স্যার ও এসি স্যার ছিলেন।’
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দীন খানের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।