কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাঠে খেলা-চলাকালে ফাউল করাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে বাংলা বিভাগের রিয়াদ, আব্দুর রহমান, সাকিবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে মার্কেটিং বিভাগের এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেয়। পরে দু’পক্ষে উত্তেজনা শুরু হলে আয়োজক কমিটি প্রায় ২০ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে খেলা শেষ হলে পূর্বের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থামাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে তারা। এতে শাখা ছাত্রলীগের ইমাম হোসেন মাসুম, জুনায়েদ আহমেদসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মারধর করলে তারা বাংলা বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়কে বেধড়ক মারধর করে। পরে বিজয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়। এসময় নৃবিজ্ঞানের ১২তম ব্যাচের তানজীম হোসেন সোহাগ, বাংলা ১০ম ব্যাচের বিজয়সহ দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বলেন, ‘মারামারি চলাকালে আমি থামাতে গেলে কেউ একজন ধাক্কা দেয় এবং আরেকজন আমার পেটে ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে জখম করে। এতে আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়। তখন উত্তেজিত অবস্থায় হয়তো কাউকে ধাক্কা দিয়েছিলাম।’
আরেক ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ বলেন, ‘আমি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাকে মারধর করে। পরে মারধর থামাতে অনেককেই সরাতে হয়েছে।’ আহত বিজয়কে মারার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এছাড়া সংঘর্ষের সময় মাঠে সাদা শার্ট পরা এক শিক্ষার্থীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কামরুন নাহার। তিনি বলেন, ‘মারামারির মাঝে এক শিক্ষার্থীর হাতে একটি পিস্তল দেখেছি। ছেলেটিকে দেখলে আমি চিহ্নিত করতে পারবো। প্রক্টরিয়াল বডি থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছি। আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়টি কোনো ম্যাম অভিযোগ করলে এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কারও কাছে অস্ত্র আছে বলে শুনিনি। কোন ম্যাম অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’