গৃহায়ন ও গণপূর্তের আওতাধীন সব ধরণের প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা দেখতে চায় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে জন্য কাজের দরপত্র প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়েশা খান ও মো. জাহিদুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের ৭টি অডিট আপত্তির ওপর আলোচনা হয়। আলোচনাকালে দেখা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের নোয়াখালীতে একটি কাজের জন্য ইন্সট্রাকশন টু টেন্ডার (আটিটি) এর শর্ত করা হয় ঠিকাদারী নির্বাচনে। রেসপনসিভ ঠিকাদারের কাগজপত্র ঘাটতি থাকায় আরো তিন ধরণের কাগজপত্র (ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট, কাজের প্রত্যয়ন পত্র ও সত্যায়িত ট্রেড লাইসেন্স) চায়। কিন্তু গত ৯ বছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি এসব কাগজপত্র জমা দেয়নি, যা অডিট আপত্তিতে স্পষ্ট অনিয়ম হিসেবে উঠে আসে।
অডিট কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সংসদীয় কমিটিও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। সংশ্লিস্টদের উদ্দেশ্যে করে কমিটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এ বিভাগের কাজের প্রাক্কলন তৈরি ও চুক্তি সম্পাদন তথা সামগ্রিক কার্য সম্পাদনে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি রুস্তুম আলী ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, গৃহায়ন ও গণপুর্তের আওতাধীন চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন দুর্নীতি না হয়, সেজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।