অনেক শিশুই হার্টে বিভিন্ন ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে। জন্মগত এসব হৃদরোগকে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (এএসডি), ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি), প্যাটেন্ট ডাক্টাস আর্টারিওসাস (পিডিএ) ইত্যাদি বলা হয়। জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসা বা হার্টের ছিদ্র সারাতে বিশ্বের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ডিভাইস ক্লোজার। এজন্য বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হয় না। এসব ডিভাইস কিছুটা দামি হলেও সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে দেবে অ্যাপোলো হসপিটালস্ ঢাকা। একই সঙ্গে তারা জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসার একটি বিশেষ প্যাকেজও ঘোষণা করেছে।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে হাসপাতালটির পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে শনিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন অ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকার সিইও ডা. রত্নদীপ চাস্কার। এ সময় হাসপাতালটির ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট ডা. তাহেরা নাজরীনসহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. তাহেরা নাজরীন জানান, ব্যবহৃত এই ডিভাইসগুলো মূলত কৃত্রিম বস্তু। কোনো রকম বাইপাস সার্জারি ছাড়াই এই ডিভাইস দ্বারা শিশুদের জন্মগত হার্টের ছিদ্র স্থায়ীভাবে বন্ধ করা যায়। প্রথমে ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে ছিদ্রের আকার দেখা হয় এবং সেই মাপ অনুযায়ী ডিভাইসটি লাগানো হয়। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে পায়ের রক্তনালি দ্বারা খুব সরু এবং নরম নলের মাধ্যমে ডিভাইসটি হার্টে প্রবেশ করানো হয়।
তিনি আরো জানান, কৃত্রিম বস্তু প্রতিস্থাপন করার পর পরই শরীরের নতুন কোষ ডিভাইসের ওপর তৈরি হতে থাকে এবং প্রতিস্থাপনের পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তা শরীরের নিজস্ব অংশ হয়ে যায়।