জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয়ের অভিযোগ এনেছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ কথা প্রচার করেন। সরকারি কর্মকর্তার এ কর্মকাণ্ডে বিব্রত পুলিশ সদর দপ্তর তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে বুধবার ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিস্তর অালোচনার জন্ম দেয়া পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে বুধবার ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহন করেছেন। আদালত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
হুইপ শামসুল হক চৌধুরী চট্রগ্রামে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন দাবি করে ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সাইফুল আমিন। বর্তমানে এপিবিএন-এ কর্মরত সাইফুল আমিন এক সময় চট্রগ্রামে চাকুরি করেছেন। হুইপের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে পুলিশ সদর দপ্তর বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। অবশেষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহা পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মঙ্গলবার এ বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ, জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা তথা অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক ঢাকার উত্তরা-১৩ এপিবিএনে কর্মরত সাইফুল আমিনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এদিকে পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যাপারে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পটিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সভা করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী। পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ সভা পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রদীপ দাশ, দেবব্রত দাশ, রাশেদ মনোয়ার, ডা.তিমির বরণ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।