রাজধানীর পুরানো ঢাকায় পুলিশের লালবাগ উপ-কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ হকাররা ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে সদরঘাট হয়ে জর্জকোর্টের সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়।
পুলিশি বাধার মুখে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্মারকলিপি পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হয়াৎ। উপস্থিত কয়েক হাজার হকার হাত তুলে দাবির প্রতি সংহতি জানান।
এরআগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ, হকার ব্যবস্থাপনার জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও পুরান ঢাকার উচ্ছেদকৃত ১০ হাজার হকারকে পুনর্বহাল করার দাবিতে সকাল ১১টায় সদরঘাট ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার হকার সমবেত হয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীল।
বক্তব্য রাখেন হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেত্রী শাহিনা আক্তার, কোতয়ালী থানা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাউয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান পাটোয়ারী, হকারনেতা মো. রবিন, মো. জাহাঙ্গীর, সামছুল হক মোড়ল, আবুল খায়ের প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্ছারণ করে বলেন, হকারদের দাবি মেনে না হলে কঠোর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকা অচল করে দিয়ে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।
পরে সংগঠনের সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মরকলিপিতে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশন বা সংশ্লিষ্ট মহল হকারদের কাঁধে যানজটের দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। অথচ হকার বিষয়টি ফুটপাতের সাথে সম্পর্কিত। যানজট রাস্তার বিষয়। কোনো সাধারণ হকারের কি সাধ্য আছে রাস্তায় কিছু মালামাল রেখে বিক্রি করবে? প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার পরিবর্তে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে কোনো দিন যানজট সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
আরো বলা হয়, ঢাকার দক্ষিণ সিটির পুরান ঢাকার ১০ হাজার হকার বেকারে পরিণত হয়েছে। এই ১০ হাজার বেকার মানুষ তাদের পরিবারের সদস্য নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ পেটের তাগিদে বিপথে চলে যেতে পারে। এতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে।