দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আজ সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশনের এক নিয়মিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মকর্তাসহ সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বসবাসরত কিছু রোহিঙ্গাকে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ একটি এনফোর্সমেন্ট টিম উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অনুসন্ধানে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি চাওয়ার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়। টিমটিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, তারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের এনআইডি দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। লতিফ শেখ বর্তমানে পাবনার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ, উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম উক্ত জালিয়াতির সঙ্গে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর এই অনুমতি চায়।
কর্মকর্তারা জানান, এর আগে দুদক তাদের প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ইসি ও তিনটি পাসপোর্ট অফিস থেকে ১৫০টি পাসপোর্ট আবেদনের নথিপত্র সংগ্রহ করে।