সিরিয়ায় সংঘটিত হুলা হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান প্রধান পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের দেশ থেকে সিরিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করতে যাচ্ছে। শুক্রবার সরকার সমর্থক মিলিশিয়ারা সিরিয়ার হুলা অঞ্চলে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ১০৮ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই পশ্চিমা দেশগুলো কূটনীতিক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ইতিমধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশ থেকে সিরিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ-আরব লীগ যৌথ দূত কফি আনান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলোর তরফে কূটনীতিক বহিস্কারের এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
হুলায় সংঘটিত শুক্রবারের গণহত্যায় নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তাদেরকে বাড়ি বাড়ি ঢুকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়।
গণহত্যার সময় বেঁচে যাওয়া প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের সমর্থক সাবিহা মিলিশিয়ারা এই এলাকার বাড়ি বাড়ি প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে তাদের হত্যা করে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল জেনেভায় সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবারের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে মাত্র ২০জন হাউলার নিকটবর্তী তালেডো গ্রামে ট্যাংক ও আর্টিলারির গোলায় নিহত হয়েছে। বাকিদের নির্বিচারে ঘরে ঘরে ঢুকে সরকারি মিলিশিয়ারা হত্যা করে। মোট ৪৯ জন শিশু এবং ৩৪ নারী এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা ঘটনাস্থল তালেদু পরিদর্শন করে জানিয়েছেন বেশিরভাগ নিহত ব্যক্তিকেই কাছ থেকে গুলি চালিয়ে কিংবা ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
অবশ্য সিরীয় নেতারা দাবি করছে এই গণহত্যা বিদ্রোহীদের কাজ। তাদের দাবি সরকারবিরোধী সন্ত্রাসীরা সিরিয়ায় পশ্চিমাদের সামরিক হস্তক্ষেপ ত্বরান্বিত করতেই এই গণহত্যা চালিয়েছে।