তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশকে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি মুক্ত করতে সরকার ৫ হাজার ২৯৫টি ডিজিটাল সেন্টার করেছে। সেখানে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিচ্ছেন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব ও ৪০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিকেলে মাগুরা শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আক্তারুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এনডিসি) হোসনে আরা বেগম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) গৌরী শংকর ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (কারিগরি) ফাহমিদা আক্তার, আইটি বিভাগের বিজনেস স্ট্র্যাটেজিস্ট রাকিব আহমেদ, ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের কর্মকর্তা ওয়াহিদ শরীফ, স্টার্ট-আপ বাংলাদেশের টিমলিডার নাঈম আশরাফী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খান, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, মাগুরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু প্রমুখ।
মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) গৌরী শংকর ভট্টাচার্য্য জানান, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষে-বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নাটোর সিলেট, বরিশাল, মাগুরা ও নেত্রকনাসহ দেশের ৭ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পের আওতায় ৩৬ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এ ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হলে এখানে প্রায় ১২ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেখানে প্রতিটি সেন্টারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, থ্রিডি এনিমেশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স কন্ডাক্টিং, এন্টারপ্রনারশিপ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট, ওয়েবসাইট ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টসহ আইটির ১০টি বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রতিটি সেন্টারে ২ হাজার ৫০০ জন হিসাবে দেশের ৭ সেন্টারে মোট ১৭ হাজার ৫০০ জন প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাবেন।
তিনি জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন মানের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি জ্ঞান ভিক্তিক ডিজিাটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। হাইটেক পার্ক নির্মাণের ফলে সারা দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন আইটি নির্ভর কাজ কর্ম সমাধান করা যাবে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবিকার ধারা বদলাবে। যা অর্থনীতিতে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।