দুর্নীতি-সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে গত কয়েক দিনের অভিযানের ফলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাই সরকারি দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার স্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার কক্সবাজারে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে কক্সবাজারের ৯ টি সড়কের নির্মাণ ও সংষ্কার কাজের উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রী বলেন, অপকর্ম বিরোধী কঠোর অভিযানে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি নেতারা অস্থির হয়ে পড়েছেন। তারা এমনটা মোটেই সহ্য করতে পারছেন না। তাই লাগামহীন কথাবার্তা বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সমাজে ভালো কথার দাম নেই। তবে দাম আছে ভালো কাজের। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী সমাজকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করে একটি মহৎ কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, যারা হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাদের মুখে সমালোচনা শোভা পায় না। সরকারের বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান নিয়ে সমালোচনা করেও জনগণকে এ বিষয়ে কোনোভাবেই বিভ্রান্ত করা যাবে না বলেও তিনি মনে করেন।
সভায় মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগার হবেন না। আপনারা নিরপেক্ষ থাকলে আমাদের সরকারি দল বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকবে।
সভায় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রোহিঙ্গা সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ‘মানবতার মা’ উপাধি পেয়েছেন। তবে রোহিঙ্গাদের এখানে দীর্ঘ সময় আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘ মেয়াদের হলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের শঙ্কা থাকে। তাই তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কক্সবাজারের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, জাফর আলম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমদ, রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, নুরুল আবছার, সাংবাদিক আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।