চীনকে পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তিমত্তার দিকে ইঙ্গিত করে চীনকে বিশ্বের জন্য হুমকি বলেছেন তিনি।
চীনের এমন সামরিক উত্থানের পেছনে নিজের পূর্বসূরিদেরও দায় দেখছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, চীন আমেরিকার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো নিয়ে গেলেও সেটি আটকাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি তাঁরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, একদিক থেকে দেখতে গেলে অবশ্যই চীন গোটা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ, তারা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।
চীনের সামরিক উত্থানের কথা বলতে গিয়ে পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টদের সমালোচনাও করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর আগের প্রেসিডেন্টরা চীনকে বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তার থেকেও বেশি অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা (আগের প্রেসিডেন্টরা) চীনকে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও স্বত্বাধিকার চুরি করে নিয়ে যেতে দিয়েছেন। কিন্তু আমি সেটা হতে দিচ্ছি না।’
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির বিষয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যচুক্তি না হওয়ার পেছনে চীনকেই দোষারোপ করেছেন তিনি, ‘আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। সব কঠিন বিষয়ে মতানৈক্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা বলে, এই চুক্তিতে তারা রাজি হতে পারবে না। তখন আমি বলি, ঠিক আছে, এখন থেকে তাহলে তোমাদের ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে এবং এই হার ভবিষ্যতে কেবল বাড়তেই থাকবে।’
গত বছর ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও ১০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে।