বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শপথ নেয়ার পর মেয়াদ দুই বছর পার হয়ে যায় গত মে মাসে। নিয়ম অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হয়।
তবে নির্ধারিত সময় এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে। তবে শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের ভেতর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ি তিন মাসের ভেতর নির্বাচন না হওয়ার কারণ হচ্ছে আগস্ট মাস। এটি বাঙালির জন্য শোকের মাস। এ মাসে নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর মাঝে আমেরিকায় ছিলেন। তিনি দেশে এসে সম্প্রতি জানালেন, শিঘ্রই তফসিল ঘোষণা এবং অক্টোবরে ১৮ তারিখে হবে এই সমিতির নির্বাচন। এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এরই মধ্যে নিবার্চন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। নিবার্চন উপলক্ষে অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে আগাম নিবার্চনের প্রস্তুতির কথা। অনেকেই আবার গোপনে গোপনে প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে গরম খবর হচ্ছে, আবার ও সাধারন সম্পাদক পদে নিবার্চন করতে যাচ্ছেন শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান। সমিতির দ্বিবাষির্কী (২০১৯-২০২১) নিবার্চন উপলক্ষে তার প্যানেলে সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগার ।
শিল্পিদের মতে আবারও যদি মিশা ও জায়েদ নিবার্চনে আসেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্যানেল পাশ করবেন বলে আমরা আশাবাদী। আর তা ছাড়া জায়েদ খান অনেক বড় মনের মানুষ। তিনি নির্বাচিত হতে পারলে শিল্পীদের জন্য মন থেকে কিছু করার চেষ্টা করবেন বলে সকলের বিশ্বাস। সে সব সময় শিল্পীদের পাশে দাড়ান। সকল বিষয়ে খোজ খবর নেন। আমরা অবশ্যই আশাবাদী আবার তারা আসুক।
জায়েদ খান বলেন, সবাই জানেন আমি গত দুই বছর শিল্পিী সমিতি সহ , সবার জন্য কি করেছি- তা সবার জানা। আমার কাছে অভিনয়ের চেয়ে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের স্বার্থেই কাজ করা ছিলো বেশি জরুরি। আমি সবসময় সেটাই করার চেষ্ঠা করেছি।
তাই শিল্পীদের প্রতি আমার টান এবং আমার প্রতি যে শিল্পীদের ভালোবাসা সেটা অনেকবার প্রমানিত। আশা করছি সবার ভালোবাসা ও ভোট পেয়ে আবারও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হব। সবার ভালোবাসা এবং ভোটারদের প্রতি এই বিশ্বাস আমার আছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।