দুর্নীতি বা অপকর্মের তথ্য প্রমাণ পেলে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে যে দলের বা সংস্থার লোক হোক না কেন। কেউ বাদ যাবে না।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অন্যায় করে কেউই পার পাবে না বলে হুঁশিয়ার দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ব্যবসা, অনৈতিক কাজ, টেন্ডারবাজি যেটাই করুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা যার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পাব তার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ অভিযান চলছে। যেই হোক জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো চালানো, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজধানীর মতিঝিলসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি দফতর, ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কিছু নেতার অপকর্মের কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার নাম ছিল। এরইমধ্যে খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার মালিকানাধীন অবৈধ ক্যাসিনোয় অভিযানের পর তাকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে ৩টি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন তিনি।