জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের অর্থনীতির ভিতকে সদৃঢ় করতে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ জাতীয় অর্থনীতিতে এই সেক্টর খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। তিনি সার্বজনিন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ফার্মাসি কাউন্সিল অব বাংলদেশ আয়োজিত ‘পলিসি ডায়ালগ অন গুড ফার্মাসি প্রাকটিস ইন হসপিটাল ফার্মাসি সেটিংস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। এ লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক; যার সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। এসব ক্লিনিক থেকে গড়ে ৬ হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। সেখান থেকে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও থেকে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন।
ড. শিরিন শারমীন বলেন, দক্ষ ফার্মাসিস্টদের দেশের ফার্মেসিগুলো নিয়োগ করে চাহিদাপত্র অনুযায়ী সঠিক ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্ত্রি রয়েছে তা দূর হবে, যোগ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে কিছু কিছু কম্পানির ওষুধ, যা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করছে।