ল্যাংড়া হই লুলা হই মন্ত্রী তো: সুরঞ্জিত

ল্যাংড়া হই লুলা হই মন্ত্রী তো: সুরঞ্জিত

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “ল্যাংড়া হই লুলা হই মন্ত্রীতো…আমার দপ্তর থাকুক আর না থাকুক আমি এখনও মন্ত্রী।“

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিরোধী দল তার সম্পর্কে ও তার দল সম্পর্কে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, “অহেতুক সমালোচনা না করে গঠনমূলক কথা বলুন।“

বক্তব্যের একপর্যায়ে ওয়ান-ইলেভেনের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, “ওয়ান-ইলেভেন সরকারের যতই খারাপ দিক বলি না কেন তারা অনেক ভালো কাজ করেছে। তারা আমাদের ছবিসহ পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছে। এগুলো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।“

বিএনপির সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “এ দলটি প্রথমে বলেছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচন হলো না। তাই দলটির নেতারা বলছেন- টেনে হিঁচড়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন। তাও পারলেন না। এখন বলছেন গণ অভ্যুত্থান ঘটাবেন। আমি সেই সব নেতাকে জিগাইতে (জিজ্ঞেস করতে) চাই- গণঅভুত্থান কি এতই সহজ? গণ অভুত্থান বোঝেন?“

সুরঞ্জিত বলেন, “ অনির্বাচিত সরকার দিয়ে রাষ্ট্র এক সেকেন্ডও আর পরিচালিত হবে না। সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। কাজেই মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হলে ২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচন হবে।“

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামরুল হাসান খান, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন সবুজ, মো. খোরশেদ আলম কবীর, ফজলুল হক, গোলাম কুদ্দুস, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

রাজনীতি