সৌদি আরবের দু’টি তেল স্থাপনায় শনিবারের হামলায় ইরানের হাত রয়েছে বলে আমেরিকা যে দাবি করেছে তার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তারা তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো দলিল, প্রমাণ বা আলমত তুলে ধরতে পারেনি বরং অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে মাত্র।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি গতকাল (বুধবার) তেহরানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ মন্তব্য করেন। তিনি ইয়েমেনের ওপর গত সাড়ে চার বছরের সৌদি আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সৌদি আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে এবং ইয়েমেনিরা সৌদি অপরাধযজ্ঞের জবাব দিয়েছে মাত্র।
জেনারেল হাতামি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে তারা কোনো কিছু করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরব ও ইহুদিবাদী ইসরাইল শুরু থেকেই আঞ্চলিক সংঘাতে আমেরিকাকে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে আসছিল। তারা সৌদি আরব ও ইয়েমেনের সংঘাতের প্রতিটি পর্যায়ে এই চেষ্টা করে এসেছে।
ইরান মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরান যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু যদি আক্রান্ত হয় তাহলে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার মতো কঠোর জবাব দেবে তেহরান।
গত শনিবার সকালে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ও গণ কমিটি ঘোষণা করে তারা তাদের দেশের ওপর গত প্রায় পাঁচ বছরের সৌদি আগ্রাসনের জবাবে দেশটির দু’টি তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তাদের ঘোষণায় বলা হয়, সৌদি আরবের জাতীয় তেল কোম্পানি আরামকো পরিচালিত ‘আবকাইক’ ও ‘খুরাইশ’ তেল শোধনাগারে ১০টি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনের সাহায্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ওই হামলার পর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি’ এক বিবৃতিতে বলেন, ইয়েমেনের ওপর পাঁচ বছরের আগ্রাসন ও অবরোধের যে জবাব দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ ও স্বাভাবিক। তবে মার্কিন সরকার কোনো দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে।