মিয়ানমার তাদের লোকদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। ১৯৭৮ কিংবা ১৯৯২ সালেও তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের লোকদের ফেরত নিয়েছিল। তবে এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার অত্যন্ত কনজারভেটিভ। তারা কারো কথা শোনে না। তবে আশার কথা হলো তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। ১৯৭৮ কিংবা ১৯৯২ সালেও তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের লোকদের ফেরত নিয়েছিল। তবে এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। ১৯৯২ সালে দুই লাখ ৫৩ হাজার ছিল। এরমধ্যে দুই লাখ ৩০ হাজার চলে যায়। এবার ১৩ লাখ। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।
মন্ত্রী বলেন, গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন আলোচনার ফলে মিয়ানমার যাদের ওপর নির্ভর করে সেই চীন বা রাশিয়া এখন অনেকটাই আমাদের পক্ষে। আমরা তাদের আস্থা অর্জনে রোহিঙ্গা নেতাদের রাখাইনে ঘুরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। চীন আমাদের সে প্রস্তাব মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী একবাক্যে স্বীকার করেছেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যাবশ্যক। তাঁরাও আমাদের সঙ্গে একমত যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারকে আমরা শর্ত দিয়েছিলাম রোহিঙ্গারা ফেরত যাওয়ার পর যেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং তারা যাতে রাখাইনে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। মিয়ানমার সে বিষয়ে রাজি হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের যে লোকগুলো আমাদের দেশে আছেন, তাঁরা তাঁদের সরকারকে বিশ্বাস করেন না।’