জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, দূতাবাসের সঠিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার কারণে জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
জাপানের ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের ৫০ জন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও আজ বুধবার দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করে। এ সময় বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট যৌথভাবে জাপানে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটে একটি সেমিনার আয়োজন করে। যেখানে জাপানের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করেন। সেমিনারে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয় ফলশ্রুতিতে জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পরে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর জুন মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সমঝোতা স্মারকটির মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাজুয়েট ও প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। যাতে তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে জাপানি ব্যবসায়ীদের অবহিত এবং বিনিয়োগে সহায়তা করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণ অনেকে জাপানেই চাকরির সুযোগ পাবেন এবং অন্যরা জাপানের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও ২০১৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোপারেশন এজেন্সি (জাইকা)র সাথে অনুরূপ একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো যা ‘মিয়াজাকি মডেল’ নামে পরিচিত। মডেলটির মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের বাংলাদেশেই প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পরবর্তীতে জাপানে নিয়োগের ব্যবস্থা করছে।
ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি বলেন, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে আইটি ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশকে ‘বিগ ডাটা’, এ আই, রোবটিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব-সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খায়রুল আমিন, বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খায়রুল আমিন এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি, আগত প্রশিক্ষণার্থীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।