জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই রূপসজ্জাশিল্পী কাজী হারুন ও আবদুর রহমান। কাজী হারুন মানুষের সাহায্য নিয়ে জীবনযাপন করেন। আর্থিক সংকটের কারণে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে চলছিল তার জীবন। অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এক বন্ধুর বাসায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন আবদুর রহমান। দুজনেরই আর্থিক অবস্থা করুণ। চিকিৎসার জন্য তাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।
গত ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ‘দৈনিক পত্রিকায় ‘রূপসজ্জাকারের মানবেতর বর্ণহীন জীবন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে তুলে ধরা হয় তাদের সেই সময়ের দুরবস্থার কথা।
গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের চিকিৎসার জন্য অনুদান দেন। এ সময় তাদের হাতে তিনি ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়াও জনপ্রিয় তারকা শিল্পী ডলি সায়ন্তনী ও বাদশা বুলবুলের বোন গায়িকা পলি সায়ন্তনী দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন।
মরণব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে তিনি ও তার পরিবার অর্থ সংকটের মুখোমুখি। বাধ্য হয়ে দেশবাসীর কাছে চেয়েছিলেন অর্থ সাহায্য। শিল্পী ঐক্যজোটের মাধ্যমে অনুদানের আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাকেও চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এ সময় অভিনেতা মহিউদ্দিন বাহারের হাতেও ৫ লাখ টাকার অনুদান তুলে দেয়া হয়।
পলি সায়ন্তনী জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে যান তিনি।সেখানে তার হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় পলির সঙ্গে ছিলেন ডলি সায়ন্তনী। এই অনুদান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘মমতাময়ী’ বলে সম্মান জানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পলি।
সেইসঙ্গে শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সৈকতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পলি বলেন, ‘ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই অমানবেতর জীবন চলছে আমার। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে অপারগ হয়ে পড়েছি। আমার অবস্থার কথা জেনে অনেকেই পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার স্নেহের পরশ রাখলেন আমার মাথায়। আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।’
চার শিল্পীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব।