গতকাল শনিবার সৌদি আরবের দুটি তেল কারখানায় হামলা চালানো হয়। সৌদি তেল ক্ষেত্রগুলোতে ইরান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই দাবির প্রেক্ষিতে ইরানের রেভ্যুলুশনারী গার্ডস এর এক কমান্ডার বলেছেন, এই (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি এবং বিমানবাহী রণতরী ইরানী ক্ষেপণাস্ত্রের সীমার মধ্যেই রয়েছে।
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে , তারা শনিবার সৌদি আরবের তেল শিল্পের কেন্দ্রস্থলে সৌদি আরমকো তেল কম্পানির দুটি কারখানায় হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি ওই হামলায় ইয়েমেনের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তেহরানকে মিথ্যা কূটনীতিতে জড়িত থাকার বিষয় নিন্দা জানান তিনি।
শনিবার পম্পেও টুইটারে বলেন, ইয়েমেন থেকে সৌদিতে ওই হামলার কোনো প্রমাণ নেই।
ইরানের আধা-সরকারী বার্তা সংস্থা তাসনিম পম্পেওকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইরান সর্বদা একটি ‘পূর্ণ-যুদ্ধ’ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে যে তেলক্ষেত্রে শনিবার হামলা করা হয়েছে তা বিশ্বের বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম কম্পানির অর্ন্তভূক্ত।