সবাই মিলে চেষ্টা করলে অসাধ্যও সাধন হয়, এটারই যেন প্রমাণ দিতে দুর্বার নদীতে নেমে পড়লেন ৫০ জন। আর উদ্ধার করে নিয়ে এলেন ডুবতে বসা এক ব্যক্তিকে। ইন্দোরের নদীতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের উদ্ধার করতে হাতে হাত ধরে মানবশৃঙ্খল তৈরি করে পানিতে নামে ইন্দোরবাসী।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের চাঁদখেড়ি গ্রামে বন্যার পানিতে ছোট ছোট নালা এমনকি কিছু রাস্তাও খরস্রোতা নদীর রূপ নিয়েছে। এমনই একটি স্রোতের মুখে পড়েন পেশায় দুধ ব্যবসায়ী দুই ব্যক্তি। একটি রাস্তা পার হতে গিয়ে তাঁদের এমনই খরস্রোতা পানিতে নামতে হয়। তাঁরা ভেবেছিলেন সাবধানে পেরিয়ে যাবেন। কিন্তু স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে তাঁদের টেনে নিয়ে যায়। সেই ঘটনা দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয়। খবর শুনেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন আরো বেশ কয়েকজন।
দুজনকে পানিতে ভেসে যেতে দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি এই মানুষগুলো। বরং তাঁরা হাতে হাত মিলিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে নেমে পড়েন। তৈরি করেন একটি মানবশৃঙ্খল। পানিতে নেমে স্রোতের আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে পড়েন। তাঁদের চেষ্টা ছিল, স্রোত যাতে দূরে ভাসিয়ে নিয়ে না যায় ওই দুই ব্যক্তিকে। মানবশৃঙ্খল তৈরি করে এক বক্তিকে উদ্ধারও করে ফেলেন তাঁরা। তবে আর এক ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি এখনও।
স্থানীয় গৌতমপুরা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্রোতের কবলে পড়া দুই ব্যক্তি হলেন ভুরা খান (২৪) ও আসিক খান (২০)। আসিককে উদ্ধার করা গেলেও ভুরা খান এখনও নিখোঁজ। তাঁকে উদ্ধারে জন্য তল্লাশি চলছে।