যেকোন মূল্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোর পরোক্ষ ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিও প্যানেট্টা। আন্তর্জাতিক চাপ ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করতেও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। আর ইরানকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য সবচে বড় হুমকি বলে মনে করছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ উপেক্ষা করে বেসামরকি কাজে ব্যবহারের কথা বলে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ইরান।
এ ব্যাপারে গত রোববার প্যানেট্টা এবিসি নিউজক বলেছেন, ‘শুধু আমরা নই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউই ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার অনুমতি দেবে না।’
প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গত সপ্তাহে বাগদাদে ইরান ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইরান কোন ধরনের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় সন্ত্রান দমন অভিযানে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহতের ঘটনা ঘটলেও এতে ড্রোন ব্যবহারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন প্যানেট্টা। ড্রোনকে তিনি মার্কিন অস্ত্রাগারের সবচে নিখুঁত অস্ত্র বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ সময় সিআইএকে সহায়তাকারী আ. শাকিল আফ্রিদিকে কারাদণ্ড দেওয়ায় পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন প্যানেট্টা। আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে ওসামার চিকিৎসক সেজে সিআইএকে সহায়তা করেন শাকিল।
রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা অভিযোগে শাকিল আফ্রিদিকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের একটি উপজাতীয় আদালত। এ ব্যাপারে প্যানেট্টা বলেন, ‘পাকিস্তান কেন শাকিলকে কারাদণ্ড দিল সেটা বোঝা আমার পক্ষে সত্যিই দুষ্কর। কারণ শাকিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাজ করছিল না বরং সে আল কায়েদার বিরুদ্ধে কাজ করছিল।’
এর প্রতিবাদে সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের একটি প্যানেল পাকিস্তানের অর্থ অনুদান তিন কোটি ৩০ লাখ কমানোর প্রস্তাব করেছে।