সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ নেপাল, নির্বাচনের ঘোষণা

সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ নেপাল, নির্বাচনের ঘোষণা

নতুন সংবিধানের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে না পারায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই।

রাজতন্ত্রের পতনের পর নেপালে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশেষ সংসদের সদস্যরা কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত রোববার নতুন সংবিধান প্রণয়নের ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তাবিত খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে একমত হতে পারেনি।

নেপালে নতুন ফেডারেল ব্যবস্থায় নৃগোষ্ঠীদের দাবি অনুযায়ী প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা গঠন করা হবে কি না এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ে।

এরপর টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও আমরা সংবিধান প্রণয়ন করতে পারিনি কিন্তু আগামী ২২ নভেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন শাসনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে একতম হয়েছি।’

২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের স্থানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর দুই বছরের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি গঠন করা হয়।

অ্যাসেম্বলির প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল- নেপালে শতবর্ষের রাজতন্ত্র উচ্ছেদ এবং একে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তর। দুই বছরের জন্য গঠন করা হলেও শাসনতন্ত্রের খসড়া প্রস্তুত করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বারবার ব্যর্থতার কারণে অ্যাসেম্বলির মেয়াদ চারবার বাড়ানো হয়। তবে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট এর মেয়াদ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‍নাকচ করে দেয়।

নেপালে সশস্ত্র আন্দোলনকারী মাওবাদীরা ২০০৬ সালে অস্ত্র সংবরণের পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মধ্যকার অনেক মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু নৃগোষ্ঠীগুলো নিয়ে সমস্যা এখনো রয়েই গেছে। তাদের স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক