অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে রাতে তিনজন মন্ত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন।
রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ আসেন। তিনি প্রায় ৩০ মিনিট হাসপাতালে অবস্থান করেন ও আহতদের খোঁজখবর নেন।
এরপর রাত ১২ টা ৩৯ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম হাসপাতালে আসেন।
বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী জানান, বিডিনিউজ অফিসে হামলা চালিয়ে কর্মীদের কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় অন্তত ৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তবে গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৪ জনকে। এর মধ্যে একজন এখন অশঙ্ককামুক্ত।
আর বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হচ্ছেন সহ সম্পাদক রিফাত নেওয়াজ, প্রতিবেদক সালাহউদ্দিন ওয়াহিদ প্রীতম এবং অফিস সহকারী রুহুল আমিন।
আহতদের দেখার পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন – ‘শোনা যাচ্ছে এই হামলার সঙ্গে যুবলীগ জড়িত’। উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নাই।’
তখন সাহারা খাতুন তাকে থামিয়ে দিযে বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বলছি সন্ত্রাসী যেই হোক সে ছাড় পাবেনা। সে যদি যুবলীগও হয় তবুও ছাড় পাবে না।’ (মহাখালীর বিডিনিউজের অফিসের পাশেই যুবলীগের অফিস)
এ ঘটনা আইন শৃঙ্খলার অবনতি কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবস্থা আপনারা বিচার করবেন। আপনারা সে বিষয়ে ভালো জানেন। তবে সাংবাদিকদের উপর হামলা নিন্দনীয় ঘটনা। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনা জানার পর পরই প্রশাসন কাজে নেমেছে। তবে ঘটনা আসলে কি তা এখনো বোঝা যাচ্ছেনা।
সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা বেড়েছে, তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার ভূমিকা কি? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি ব্যাপারটা জানি। আমরাও আসলে বিব্রত। আমি বিভিন্ন সময়ে আহত সাংবাদিকদের দেখতে গিয়েছি। গতকালও ফটো সাংবাদিকদের দেখতে ট্রমা সেন্টারে গিয়েছি। আমি সাংবাদিকদের পাশে আছি।”