বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সফররত কাতারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী শেখ আহমদ বিন মোহাম্মদ বিন জাবর আল-থানি।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কাতারের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে কাতার বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বিজন লাল দেব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে কাতার গভীরভাবে আগ্রহী বলেও জানানো হয়।
বৈঠকে জাবের আল থানি বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং কাতার বাংলাদেশের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশীদার হতে চায়।’
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে থানি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে কাতারের মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাতার সব সময়েই বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে রয়েছে এবং এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর জোরদার হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে কাতারের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুলভ, আরামদায়ক ও কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে নৌ ও রেল যোগাযোগের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পর্যটক আকর্ষণের জন্য পর্যটন শহর কক্সবাজারে একটি বিমান বন্দর নির্মাণসহ এর অবকাঠামো উন্নয়নে কাতার সরকারের সহযোগিতা চান।
প্রধানমন্ত্রী দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, এ লক্ষে সরকার কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগের পাশাপাশি কৃষকদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জলবায়ুর বৈরী পরিবেশ-বান্ধব বিভিন্ন জাতের শস্য উদ্ভাবন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তাদানে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগের জন্য কাতারকে প্রস্তাব দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কাতারের মন্ত্রী ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে ঢাকা আসেন।