জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, ‘বিরোধী দল যদি সংসদে এসে দাবি-দাওয়ার কথা বলে তবে সরকারি দলকে অনুরোধ করে বিতর্কের আয়োজন করতে পারি।’
রোববার জাতীয় সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলুল আজিম বলেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলনে নেমেছে। আর সরকারি দল কঠোর হস্তে তা দমন করছে। বিরোধী জোটের ৪২ নেতা-কর্মী কারাগারে। আজ ছয় জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে শত-শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে আলোচনা করতে হবে, সংলাপে যেতে হবে। জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যদি প্রশ্ন আসে, তাহলে সমস্যা হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রক্রিয়া, পদ্ধতি ও তদারকি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। নামটাই বড় বিষয় নয়, পদ্ধতিটাই আসল।’
পরে স্পিকার আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বিরোধী দল যদি সংসদে থাকতো, তাদের দাবি-দাওয়া জানালে আমি সরকারি দলকে এ বিষয়ে আলোচনার অনুরোধ করতে পারতাম। বিষয়টি (নির্বাচন) নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘সংসদের বাইরে যদি কোনো কথা হয়, সেটা বিরোধী বা সরকারি দল যেই বলুক না কেন আমার কিছু করার নেই। সংসদে যদি কিছু আলোচনা হয়, তবে আমি ইনটারফেয়ার করতে পারি। আমি বিরোধী দলকে বলবো, আপনাদের বক্তব্য সংসদে তুলে ধরেন। তখন সরকারও কি বলে সেটা দেখা যাবে। প্রাণবন্ত আলোচনা হলে সবাই দেখতে ও শুনতে পাবে। কেউ যদি অযৌক্তিক-অবান্তর কথা বলে, তবে দেশবাসীও জানতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল সংসদে এলে আমি তাদের কথা আমলে নিতে পারি। সরকারকেও বলতে পারি। সরকারি দলও যদি বাইরে কিছু বলে তবে আমার কোনো এখতিয়ার নেই।’
তিনি বলেন, ‘এখানে ছাড়াও সংসদে অনেক কক্ষ আছে। যদি অন্যকোনো কক্ষে সরকারি-বিরোধী দল বা অন্য যেসব দল আছে তবে আলোচনা করতে পারেন। আমি সহযোগিতা করবো। চা-নাস্তা লাগলে পাঠাতে পারবো।’
ফজলুল আজিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বিরোধী দলের কথার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমি জানি না। আপনি একসময় তাদের দলে যুক্ত ছিলেন। আশা করেছিলাম, ৫ জন এমপি কারাগারে রয়েছেন সে বিষয়ে কথা বলবেন। যদিও আমি খবর পেয়েছি তারা জামিনে মুক্ত হয়েছেন।’